وليالٍ عشر
ليالي ذي الحجة

بماذا نستقبل هذه الأيام؟

عن ابن عباس قال: قال ﷺ:
ما من أيام العمل الصالح فيها أحب إلى الله عز وجل من هذه الأيام. (يعني أيام العشر.)
قالوا : يا رسول الله ولا الجهاد في سبيل الله؟
قال: ولا الجهاد في سبيل الله؛ إلا رجلا خرج بنفسه وماله ثم لم يرجع من ذلك بشيء.

والعمل الصالح شامل لمختلف أنواع العبادة.
من صوم وصلاة وحج وذكر وتكبير لله تعالى، وتلاوة قرآن وإنفاق في وجوه البر، وغير ذلك.

فمما يتأكد في هذه الأيام:

1، الصوم ما عدا اليوم العاشر منها.
فعن بعض أزواج النبي ﷺ قالت: كان رسول الله ﷺ يصوم تسع ذي الحجة.
خاصة يوم عرفة الذي يكفر صيامه سنتين.

2ـ الحج، وهو أفضل ما عُمِل في العشر، وقد قال ﷺ: الحج المبرور ليس له جزاء إلا الجنة.

3ـ الأضحية وهي سنة مؤكدة، ومن أراد أن يضحي أمسك عن الأخذ من شعره وأظفاره من دخول شهر ذي الحجة حتى يذبح أُضحيته.

4- الإكثار من التهليل و التكبير والتحميد .
وصفة التكبير : الله أكبر الله أكبر الله أكبر
لا إله إلا الله
الله أكبر الله أكبر ولله الحمد.

শপথ দশ রাত্রির
যুলহজ্জ্ব মাসের দশ রাত্রি ( প্রথম দশ দিন)
এই দশ দিনে আমরা কি আমল করব?
ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: বছরের অন্যান্য সকল দিনের সৎ আমল অপেক্ষা এই ১০ দিনের সৎ আমল মহান আল্লাহ তায়ালার নিকটে অধিক প্রিয়। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন: হে আল্লাহর রাসূল! অন্যান্য দিনের আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও এই দিনগুলির সৎ আমল থেকে থেকে প্রিয় নয়?
তিনি বললেন: আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও এর থেকে প্রিয় নয়; তবে যদি কোন ব্যক্তি তার জান এবং মাল নিয়ে জিহাদে বের হয় অতঃপর জান এবং মালের কোনটিই ফিরে না আসে, ঐ ব্যক্তির জিহাদ ব্যতীত।

সৎ আমল কথাটি বিভিন্ন ধরনের ইবাদতকে শামিল করে নেয়। যেমন: রোজা, নামাজ, হজ্জ্ব, জিকির, আল্লাহর তাকবীর, কোরআন তেলাওয়াত, কল্যাণকর কাজে ব্যয় করা ইত্যাদি।

এই দিনগুলিতে যে কাজগুলি করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ:
১। দশম দিন ব্যতিত অন্যান্য দিনগুলিতে রোজা রাখা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন কোন স্ত্রী থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিলহজ্জ্ব মাসের প্রথম নয় দিন রোজা রাখতেন। বিশেষ করে আরাফার দিন, যে দিনের রোজা দুই বছরের গুনাহ মিটিয়ে দেয়।

২। হজ্জ্ব করা: আর এটি হচ্ছে এই দশ দিনে কৃত সবচেয়ে ফজিলত পূর্ণ আমল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কবুল হজের একমাত্র প্রতিদান হচ্ছে জান্নাত।

৩। কুরবানী করা: এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, যে ব্যক্তি কোরবানী করার ইচ্ছা করেছে সে যেন জিলহজ্জ্ব মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে তার কোরবানী করার পূর্ব পর্যন্ত তার চুল , নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।

৪। বেশি বেশি তাহলিল, তাকবীর এবং তাহমিদ পড়া:
তাকবীরের শব্দগুলি হচ্ছে: আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।